বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বাদাম অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি খাবার। বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা রয়েছে আবার আমরা অনেকেই জানিনা। বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা জানার পর,আমাদের জানতে হবে বাদাম খাওয়ার নিয়ম।
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। চলুন,বাদাম খাওয়ার আগে বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
বাদাম পুষ্টি গুনে ভরা একটি খাবার। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের বাদাম পাওয়া যায়,যেমন কাঠবাদাম,কাজুবাদাম,পেস্তাবাদাম,চিনাবাদাম ইত্যাদি। এইসব বাদামের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,ফাইবার,ম্যাগনেসিয়াম,মনোস্যাচুরেটেড এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট,আইরন,ক্যালসিয়াম এবং ফলেট রয়েছে।
এছাড়াও বাদামে ভিটামিন ই,রিবোফ্লাবিন,নিয়াসিন সহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাদামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। বাদাম আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। বাদামের উপকারিতা অনেক যেটা বলে শেষ করা যাবে না।
বাদাম আমাদের মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে। বাদাম শরীরের পুষ্টি ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,যা আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত বাদাম খাওয়ায় আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়ে।
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন যা আমাদের চোখসহ আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। নিয়মিত বাদাম খাওয়ায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাদাম ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত পরিমাণে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বাদাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাদাম আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরের কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,হজম শক্তি বাড়াতে বাদামের প্রয়োজনীয়তা অনেক। বাদামে রয়েছে ওমেগা ও ফ্যাটি অ্যাসিড,যা আমাদের মস্তিষ্ককে পরিষ্কার রাখে। এছাড়া এই ওমেগা থ্রি অ্যাসিড পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এটি খাওয়ায় হার্ট অ্যাটাক এর সম্ভাবনা কমায়। বাদাম আমাদের পেশী এবং হৃদপিণ্ড সচল রাখতে সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড যা ধমনীর ভেতরের দেয়ালকে শক্তিশালী করে এবং নরম করে। বাদাম রক্তনালীর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে,বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা চুল ও ত্বকের সুস্থতায় ভূমিকা পালন করে। এটি বয়সের ছাপ দূর করে ত্বককে রাখে টান টান।
বাদাম খাওয়ার অপকারিতা
আমাদের সকল প্রকার খাবার অতিরিক্ত খাওয়া উচিত না। কেননা খাবার খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এর অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত সবকিছুই স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। চলুন,বাদাম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানা যাকঃ-
বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকায় আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। যেমন আপনি অতিরিক্ত বাদাম খেলে ফ্যাট জমার কারণে মোটা হতে পারেন। এটি ওজন কমানোর সাথে ওজন বাড়াতেও ভূমিকা রাখে। অতিরিক্ত বাদাম আপনার এলার্জির সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অতিরিক্ত বাদাম শরীরের আয়রন,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম প্রবেশে বাধা দেয়। বাদাম রক্ত চাপ কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়,যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই প্রয়োজনের বেশি বাদাম খাওয়া উচিত হবে না। অতিরিক্ত বাদাম খেলে শরীরের মিনারেলের শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা
বাদামের মধ্যে কাজুবাদামের উপকারিতা অনেকটা বেশি। কাজুবাদাম দেখতে সাদা রংয়ের হয়ে থাকে। কাজুবাদামে প্রোটিন,অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,কপার,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,আয়রন,ফসফরাস সহ নানা পুষ্টি উপাদান। চলুন,কাজুবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাকঃ-
কাজুবাদাম শরীরের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করে। নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে বুদ্ধি,স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। কাজু বাদামে থাকা মনো আনস্যাচুরেটেড,যা দেহের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
হার্টের রোগ,ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে কাজুবাদাম। কাজু বাদামে থাকা ক্যালসিয়াম,ফসফরাস দেহের হাড় মজবুত করতে ভূমিকা রাখে। কাজুবাদাম শরীরের অনেক উপকার সাধন করে। এটি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কাজুবাদাম খাওয়ায় চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং খুশকি দূর হয়। অনেক সময় আমাদের মুখে ঘা হয়, এই ঘা নির্মূল করতে কাজুবাদাম কাজ করে থাকে। কাজুবাদাম অ্যানিমিয়া রোগ প্রতিরোধ করে। কাজু বাদামে এতই উপকারিতা রয়েছে যে যার জন্য ডাক্তাররা প্রাকৃতিক ট্যাবলেট বলে থাকে। প্রতিনিয়ত কাজু বাদাম খাওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কাজুবাদাম খাওয়ার অপকারিতা
কাজুবাদাম শরীরের জন্য যেমন ভালো তেমনি শরীরের জন্য ক্ষতিকরও। অতিরিক্ত কাজুবাদাম খেলে শরীর অসুস্থ হবার সম্ভাবনা থেকে থাকে। চলুন,কাজুবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ-
সাধারণত যাদের বাদাম খেলে অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দেয়,তাদের কাজুবাদাম খেলেও এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত কাজু বাদাম খেলে শরীরের ওজন বাড়তে পারে। ডায়াবেটিস এর মত সমস্যার তৈরি ও হতে পারে। অতিরিক্ত কাজু বাদাম খেলে সার্জারির রোগীদের কাজুবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই এটি থেকে দূরে থাকুন,অতিরিক্ত কাজুবাদাম খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগতে পারেন।
কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা
আমরা কমবেশি কাঠবাদাম সবাই পছন্দ করে থাকি। বাদাম খেতে অনেক সুস্বাদু। কাঠ বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,ফাইবার,ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস,আইরন,ফলিক অ্যাসিড,ভিটামিন ই সহ নানান ধরনের পুষ্টি উপাদান। কাঠবাদাম প্রচুর উপকারী ও সুস্বাদু একটি খাবার। চলুন,কাঠবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাকঃ-
কাঠবাদামে উপস্থিত বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান,যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। আমাদের শরীরের এনার্জি বাড়াতে কাঠবাদাম সহায়তা করে। কাঠবাদাম শ্বাসকষ্ট রোধ করতে সাহায্য করে। অন্যান্য সব বাদামের চেয়ে কাঠ বাদামের পুষ্টি উপাদান সবচেয়ে বেশি।
কাঠবাদামে অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে,যা আমাদের দেহের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। কাঠ বাদাম খেলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে থাকে। হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে কাঠবাদাম সহায়তা করে। কাঠবাদাম ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। সুন্দর-মসৃণ,কোমল-নমনীয় ফরসা করতে সাহায্য করে।
সকালে খালি পেটে ভেজা কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কাঠবাদাম খাওয়ার তো উপকার রয়েছে আবার সকালে খালি পেটে ভেজা কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। চলুন,সকালে খালি পেটে ভেজা কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাকঃ-
সকালে খালি পেটে কাঠবাদাম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। হৃদরোগের মত সমস্যা দূর করে, ডায়াবেটিস কমাতে কাঠবাদাম সহায়তা করে। কাঠ বাদামে থাকা জিংক আমাদের ত্বকের সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। শারীরিক বিকাশেও কাঠ বাদামের ভূমিকা বিদ্যমান।
কাঠবাদাম খাওয়ার অপকারিতা
সব ধরনের খাবারের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও বিরাজ করে। তেমনি কাঠবাদামের ও কিছু অপকারিতা রয়েছে। চলুন,জেনে নেই সেইসব অপকারিতা গুলোঃ-
যেসব রোগী নিয়মিত কিছু ঔষধ সেবন করে থাকেন,তাদের নির্দিষ্ট রোগ নিরাময়ের জন্য কাঠ বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রয়োজনে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাঠবাদাম খেতে পারেন। যাদের বাদাম খেলে এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয় তারা কাঠ বাদাম এড়িয়ে চলতে পারেন।
কেননা কাঠবাদাম খেলেও এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। শ্বাসকষ্ট রোগীদের বাদাম থেকে বিরত থাকা উচিত আবার অনেক সময় অতিরিক্ত কাঠ বাদাম খাওয়া গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ওজন বাড়াতে কাঠবাদাম কাজ করে থাকে। অতিরিক্ত কাঠা বাদাম খেলে শরীরে টক্সিন এর মাত্রা বেড়ে যায়,তাই আমাদের পরিমাণ অনুযায়ী খাবার খাওয়া উচিত।
চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
চিনা বাদাম আমাদের সবারই পরিচিত একটি বাদাম। অন্যান্য বাদামের তুলনায় চীনা বাদাম অনেক সহজলভ্য। তাই আমাদের সবার কাছেই চিনা বাদাম অনেক প্রিয়। অন্যান্য বাদামের তুলনায় চিনা বাদামেও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
চীনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও চীনা বাদামে রয়েছে প্রোটিন,ফাইবার,ক্যালসিয়াম,আয়রন,সোডিয়াম,পটাশিয়াম,ভিটামিন এ, ভিটামিন বি,ভিটামিন সি সহ নানান ধরনের পুষ্টিগুণ। চলুন,চিনা বাদামখাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ-
নিয়মিত চিনা বাদাম খাওয়ায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যার কারণে সর্দি-কাশি,জ্বর ইত্যাদি সংক্রামক রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। চিনা বাদাম রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। চিনা বাদাম খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে।
গর্ভবতী মহিলারা যদি চিনা বাদাম খান তাহলে আপনার বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বিকাশে সহায়তা করবে চিনা বাদাম। চিনা বাদামে রয়েছে মনো আনস্যাচুরেটেড অ্যাসিড যা ত্বকে হাইড্রেটেড করতে সাহায্য করে। চিনা বাদাম খাওয়ায় স্ট্রোক এবং হার্টের অসুখের মত সমস্যা দূর করে।
ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে চিনা বাদাম।তাই যারা ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত তারা নিঃসন্দেহে চিনা বাদাম খেতে পারে তবে অতিরিক্ত নয় প্রয়োজন অনুযায়ী শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খেতে হবে।
সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে প্রচুর। খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে শরীরের ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। নিয়মিত চিনা বাদাম খাওয়ায় দেহের খারাপ টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে দেহের হাড় মজবুত হয়।
ব্রেনের শক্তি বৃদ্ধি করতে চিনা বাদাম দারুণ ভূমিকা রাখে। শিশুদের মনোযোগের শক্তি বাড়িয়ে দেয় চীনা বাদাম। সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে ত্বকের লাবণ্যতা বজায় থাকে। শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার ভূমিকা অতুলনীয়।
রক্ত সরবরাহ করতে সাহায্য করে চিনা বাদাম। রক্তকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে চিনাবাদাম। তাই খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার কোন তুলনা হয় না। চেষ্টা করবেন নিয়মিতভাবে খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার।
চিনা বাদাম খাওয়ার অপকারিতা
অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। তাতে করে হতে পারে আপনার ভয়ংকর ক্ষতি। তেমনি অতিরিক্ত চিনা বাদাম খাওয়া হতে পারে আপনার জন্য মরণফাঁদ। অতিরিক্ত চিনা বাদাম খাওয়ার কারণে আপনার শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। চিনা বাদাম খেলে আপনার দেহের ওজন বাড়তে পারে,এ বাদাম খেলে এলার্জির সমস্যা তৈরি হতে পারে। অতিরিক্ত চিনা বাদাম খেলে আপনি ডায়রিয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই কখনোই প্রয়োজনের বেশি বাদাম খাবেন না।
পেস্তা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
আমরা অনেকেই পেস্তা বাদামের সাথে অপরিচিত। এটি অধিক মূল্য হওয়ায় আমাদের হাতের নাগালে পাওয়া যায় না। তবে পেস্তা বাদামে রয়েছে বহুগুণ উপকারিতা,যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগব্যাধি হওয়া থেকে রক্ষা করে। চলুন,পেস্তা বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ-
পেস্তা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি,প্রোটিন,কপার,ম্যাঙ্গানিজ,পটাশিয়াম,ফসফরাস,ফাইবার,ভিটামিন বি-৬,মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সহ নানান ধরনের পুষ্টি উপাদান। পেস্তা বাদামে উপস্থিত আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
পেস্তা বাদাম খাওয়ার ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বজায় থাকে। পেস্তা বাদাম খেলে চোখের ছানি সহ চোখের নানাবিধ সমস্যা দূর হয়। পেস্তা বাদাম শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। পেস্তা বাদামে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
দাঁতের নানা সমস্যা দূর করতেও পেস্তাবাদাম দারুণ ভূমিকা পালন করে। লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। অন্য সব বাদামের তুলনায় পেস্তা বাদামে রয়েছে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,যা দৃষ্টিশক্তিতে দারুণ ভূমিকা রাখে।
নিয়মিত পেস্তা বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। পেস্তা বাদাম ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধে দারুন ভূমিকা রাখে। পেস্তাবাদাম ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত সারিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
গর্ভাবস্থায় পেস্তা বাদাম খাওয়ার উপকারিত
গর্ভাবস্থায় পেস্তা বাদাম দারুণ উপকার করে থাকে। গর্ভাবস্থায় পেস্তা বাদাম খেলে গর্ভের বাচ্চার পেশির বিকাশের সহায়তা করে। গর্ভের বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে। পেস্তা বাদাম গর্ভবতী মহিলার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। তাই গর্ভাবস্থায় পেস্তা বাদাম খান এবং নিজেকে সুস্থ রাখুন। তবে সার্জারির আগে বাদাম খাওয়া বাদ দিতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
বাদাম খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত। আমরা আপনাদের মাঝে কয়েক ধরনের বাদাম খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি একজন সচেতন ব্যক্তি হয়ে থাকেন,তাহলে আপনার এসব বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। আমাদের সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।
যদি আপনি এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত আমাদের ফলো করতে হবে। আমরা এই ধরনের আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত প্রকাশ করে থাকে। আপনি এবং আপনার পরিবারের সকলের জন্য সুস্থতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
এন বি ট্রিক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট এর রিভিউ করা হয়।
comment url